পেয়ারা আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফল। এটি সারা বছর পাওয়া যায় এবং সুলভ মূল্যের কারণে সকল শ্রেণির মানুষ সহজেই খেতে পারেন। পেয়ারার বৈজ্ঞানিক নাম Psidium guajava। ভিটামিন, খনিজ ও আঁশে ভরপুর এই ফলকে অনেকে ‘গরিবের আপেল’ বলে থাকেন। এই ফল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরের ক্ষতির কারণও হতে পারে। নিচে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরা হলো—
![]() |
পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা |
প্রথমেই পেয়ারার উপকারিতার কথা বলা যায়। পেয়ারা ভিটামিন সি-তে ভরপুর, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা আঁশ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পটাশিয়াম থাকায় হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে ত্বক ও চুল সুস্থ থাকে এবং ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক হয়। ক্যালোরি কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণেও পেয়ারা একটি চমৎকার ফল। পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা:
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
পেয়ারায় ভিটামিন সি প্রচুর থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
-
হজম শক্তি ভালো রাখে:
আঁশযুক্ত হওয়ায় পাচন শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
পেয়ারা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো ফল।
-
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে:
পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ক্যালোরি কম কিন্তু আঁশ বেশি থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
-
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো:
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বক উজ্জ্বল করে ও বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
-
চোখের যত্নে সহায়ক:
ভিটামিন এ থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
পেয়ারায় ভিটামিন সি প্রচুর থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি ভালো রাখে:
আঁশযুক্ত হওয়ায় পাচন শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
পেয়ারা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো ফল।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে:
পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ক্যালোরি কম কিন্তু আঁশ বেশি থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো:
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বক উজ্জ্বল করে ও বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
চোখের যত্নে সহায়ক:
ভিটামিন এ থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তবে পেয়ারা খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খালি পেটে বেশি পরিমাণ পেয়ারা খেলে এসিডিটি হতে পারে। ডায়রিয়ার সময় পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়, এতে অসুবিধা বাড়তে পারে। যাদের আলসারের সমস্যা আছে, তাদের কাঁচা পেয়ারা এড়িয়ে চলা উচিত। আবার একসাথে অনেক পেয়ারা খেলে হজমের গণ্ডগোল হতে পারে। পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা:
-
অতিরিক্ত খেলে গ্যাস ও পেট ফাঁপা – পেয়ারার আঁশ বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
-
বীজ হজমে অসুবিধা – অনেক বেশি বীজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট ব্যথা হতে পারে।
-
ডায়রিয়া রোগীর জন্য ক্ষতিকর – ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে আঁশ থাকার ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
-
খালি পেটে না খাওয়াই ভালো – খালি পেটে পেয়ারা খেলে অনেকের গ্যাস্ট্রিক বা পেট ব্যথা হতে পারে।
-
অতিরিক্ত খেলে দাঁতের ক্ষতি – পেয়ারা খুব শক্ত হলে বেশি চিবোতে গিয়ে দাঁতের ক্ষতি বা ব্যথা হতে পারে।
উপসংহার
পরিমিত পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে হজমের সমস্যা বা ডায়রিয়া থাকলে এড়িয়ে চলা ভালো। সঠিক পরিমাণে খেলে পেয়ারা আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্য এক অসাধারণ ফল।